নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের বহু নিদর্শন। অঞ্চলভিত্তিক এসব নিদর্শন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি, ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের সৌখিন এন্টিক সংগ্রাহক তারেকুল ইসলাম জুয়েল।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র-ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের চকবাজারস্থ চেম্বারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগ্রহশালা গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারেকুল ইসলাম জুয়েলের উদ্যোগে এ আলোচনায় আরও অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাওহিদুল করিম কাজল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু রায়হান চৌধুরী, ১১ নং সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহ আলম ভুঁইয়া, ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এদেশের জন্ম। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সম্মুখযু্দ্ধে সরাসরি অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের এখন বয়স হয়ে গেছে, কেউ কেউ নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন, কেউবা আর বেঁচে নেই।
‘৭০ থেকে ৮০’র দশকে যাদের জন্ম কিংবা বেড়ে ওঠা তাদের মধ্যে যত তীব্রভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিলক্ষিত হয়, ২০২২-এ ততটা দেখা যায় না। শুধু পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা পড়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেম শেখানো সম্ভব নয়। এর জন্য প্রতিটি মানুষকে আক্ষরিক অর্থে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ মানে একটা জাতির জন্মের গল্প, একটা পতাকার জন্মের গল্প, একটা জাতীয় সংগীতের জন্মের গল্প।
অঞ্চলভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি, ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শহর-গ্রামগঞ্জে ছোট ছোট সংগ্রহশালা গড়ে তোলার ব্যাপারে তারেকুল ইসললাম জুয়েলের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচনায় অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এবং এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তারা।
এ সময় তারিকুল ইসলাম জুয়েল তাঁর পৈত্রিক বাড়ি সাতকানিয়া থেকে এ উদ্যোগের যাত্রা শুরুর সংকল্প ব্যক্ত করে সরকার, বীর মুক্তিযাদ্ধা ও সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply